IQNA

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কুরআন এখন বাংলাদেশে

21:43 - December 09, 2017
সংবাদ: 2604513
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কোরআন শরীফ এখন বাংলাদেশে। কুরআনের এ কপিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। রাজধানী উত্তর মুগদা পাড়ার জহির ‍উদ্দিন আহমেদ এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কুরআন এখন বাংলাদেশে

 

বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র আকারের পবিত্র কুরআন গ্রন্থের সন্ধান মিলেছে বাংলাদেশে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেই গ্রন্থটির সন্ধান মিলেছে। ২৫৭ পৃষ্টার এই কোরআনের দৈর্ঘ্য মাত্র ১ ইঞ্চি, অর্থাৎ ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার।
বায়তুল মোকাররমে হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনীর উপর মাসব্যাপী তথ্যচিত্র, ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনীতে ক্ষুদ্রাকৃতির ওই কুরআন প্রদর্শিত হয়।
কুরআনের এ কপিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। রাজধানী উত্তর মুগদা পাড়ার জহির ‍উদ্দিন আহমেদ এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির কুরআনের কপিটি ছিল পাকিস্তানের জাদুঘরে। যার দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। এবার পাকিস্তানের ওই রেকর্ডকে ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশে কুরআনের যে কপিটি পাওয়া গেছে তার দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। পাকিস্তানের সেই কুরআনের চেয়ে তা দশমিক ৬ সেন্টিমিটার ছোট।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বাংলামেইলকে জানান, বাংলাদেশে থাকা মাত্র ২৫৭ পৃষ্টার এই পবিত্র কুরআন শরীফের দৈর্ঘ্য মাত্র ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ দশমিক ৭৫ ইঞ্চি, উচ্চতা দশমিক ৭ মিলিমিটার এবং ওজন মাত্র ২ দশমিক ৩৮ গ্রাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনী ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমিন জানান, জহির উদ্দীন আহমেদ ২০০৮ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে এসে পবিত্র কুরআনের কপিটি জমা দিয়ে যান। তিনি এ-ও বলেছেন যে কোরআনের কপিটি তার কাছে থাকাটা নিরাপদ নয়। তাই তিনি এটি ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করেন।
বাংলামেইল গণনা সাপেক্ষে এতে ২৫৭টি পৃষ্টা আছে বলে নিশ্চিত হয়েছে। গণনার সময় প্রতিটি পৃষ্টা একটির সাথে আরেকটি চেপ্টে লেগে ছিল। যা পরে আলাদা করা হয়। কুরআনের অক্ষর খুবই ছোট ও অস্পষ্ট। তাই বোঝা মুশকিল। পড়া না গেলেও কুরআনটি ৩০ পারায় সম্পূর্ণ- তা স্পষ্ট।
এদিকে এক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর কাছেও কিছুদিন আগে ছোট কুরআন শরীফের সন্ধান পাওয়া যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই নাগরিকের কাছে রক্ষিত আল কোরআন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট এবং প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো বলেও দাবি করা হয়।
ওই কোরআন শরিফটি উচ্চতায় ৫ দশমিক ১ এবং প্রস্থে ৮ সেন্টিমিটার। এতে পৃষ্ঠা আছে ৫৫০টি। কুরআনের ক্ষুদ্রতম এই কপিটি পাওয়া গেছে জেরুজালেমে আল কুদসের কাছে। কুরআনটির হেফাজতকারীর নাম আমিল ঈসা। বংশ পরম্পরায় তিনি এই কুরআনের এ ক্ষুদ্রতম কপিটির মালিক হয়েছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন।
এর কিছুদিন পরই সন্ধান পাওয়া যায় পাকিস্তানের জাদুঘরে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির কুরআনটির।   infozone24

 

captcha