বার্তা সংস্থা ইকনা: হযরত ফাতিমা যাহরা(সা.আ.) হচ্ছেন গোটা বিশ্বের জন্য আদর্শ। তিনি শুধু নারী জাতির আদর্শ নন বরং তিনি হচ্ছেন গোটা মানব জাতির আদর্শ।
কেননা পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا اِمْرَأَةَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বলল: হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে জালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।
এখানে ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়াকে শুধু নারীদের জন্য নয় বরং সকল মানুষের জন্য আদর্শ হিসাবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
অনুরূপভাবে মা ফাতিমাও হচ্ছেন সকল মানব জাতির জন্য আদর্শ। তিনি তার জীবনে একত্ববাদকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যা সবার জন্য শিক্ষণীয়।
মা ফাতিমা যাহরা হচ্ছেন সকল কল্যাণের উৎস মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা কাওছারে তার উল্লেখ করেছেন।
কাওছারের অর্থ কল্যাণের প্রাচুর্য। যেহেতু মক্কার কাফিররা রাসূল (সা.)-এর পুত্রসন্তান না থাকার কারণে বিদ্রূপ করত এবং তিনি মানসিক কষ্ট পেতেন, তাই তাদের বিদ্রূপের জবাব ও সান্তনার জন্য আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। যার অর্থ এই যে, আমি তোমাকে প্রাচুর্যের সঙ্গে সন্তান দান করেছি। সে কারণে বর্তমানে সম্ভবত এমন কোন স্থান নেই যেখানে তাঁর সন্তান অর্থাৎ সাইয়্যেদ নেই। আর রাসূল (সা.) যা বলেছেন এবং অসংখ্য সুন্নি আলেম যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা হল, ‘আল্লাহ সকল নবীর বংশ তাঁদেরই ঔরসে রেখেছেন, আর আমার বংশ আলীর ঔরসে রেখেছেন। (শারহে মুসলিম, ত্বাহা হোসাইন)