গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘হিউম্যান রাইটস ভাইয়োলেশনস ফেজড মুসলিম’ শীর্ষক সেমিনারে তাদের এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেমিনারে ওআইসির ‘মুসলিম ও সংখ্যালঘু’ বিভাগের প্রধান হাসান আবেদিন বলেন, “এশিয়ার রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনী স্বার্থ হাসিলের জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ‘মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাবের’ সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এশিয়া পুঁজিবাদের নতুন আবাস, যদিও তা সেখানে বহু জাতি-সম্প্রদায়ের বসবাস হওয়ায় তা অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় বেশি বৈচিত্র্যময়, তবু তা নির্বাচনী জনতুষ্টিবাদের অন্ধকারে ভুগছে। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে সমগ্র মহাদেশে মুসলিমদের লক্ষ্যে পরিণত ও দোষারোপ করা হচ্ছে। মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ’ তিনি এই দুই দেশের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতাদের নাম উল্লেখ করেন, যাঁরা প্রকাশ্যে মুসলিম গণহত্যার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
হাসান আবেদিন এই ধর্মীয় সংঘাতের বিপক্ষে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। কেননা মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব উপেক্ষার অর্থ হলো আগ্রাসীদের আরো জায়গা ও সুযোগ করে দেওয়া। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতা, সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীরা বক্তৃতা করেন। সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড