সূরা "তওবা" বা "বারায়াত" হল পবিত্র কুরআনের নবম সূরা। এই সূরায় ১২৯টি আয়াত রয়েছে। সূরা তওবা মাদানী সূরার অন্তর্ভুক্ত। এই সূরাটি দশম এবং একাদশ পারায় রয়েছে। নাযিলের ক্রমানুসারে, এটি ১১৪তম (শেষ) সূরা যা নবী করিম(সা.) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আরবি ভাষায় "তওবা" শব্দের অর্থ ফিরে আসা এবং পবিত্র কুরানের পরিভাষায় এর অর্থ হল পাপ থেকে মহান আল্লাহর নিকট ফিরে আসা। এই সূরায় “তওবা” শব্দটি বেশ কয়েকবার উল্লেখ করা হয়েছে। আর এর নামকরণ “তওবা” করা হয়েছে। এই সূরাটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল এটি «بسم الله الرحمن الرحیم» "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" ছাড়া শুরু হয়। মুফাস্সিরগণ এর জন্য বিভিন্ন কারণ ব্যক্ত করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
«ِبسْمِ الله الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ» হচ্ছে রহমত ও সুরক্ষার আয়াত। অথচ এই সূরায় সুরক্ষা প্রদান না করার কথা বলা হয়েছে।
এই সূরার মূল বিষয় হল তওবা এবং সত্যিকারের তওবা করাকে বোঝানো হয়েছে। শিরক থেকে ঈমানের দিকে ফিরে আসা এবং সালাত, যাকাত ও জিহাদের মতো বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
বিভিন্ন গুনাহসমূহ, যেমন: দুনিয়ালিপ্স, হীনতা, প্রতারণা, উপযোগিতা, সুবিধাবাদী এবং মিথ্যার মতো পাপ হতে ফিরে আসার একমাত্র পথ হল “তওবা” করা।
সূরা তওবায় মুশরিক ও মুনাফিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু এটা তাদের জন্য “তওবা” করার পথ উন্মুক্ত করে দেয়। এই সূরায় মুমিনদেরকে মুশরিক আত্মীয় স্বজন হতে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
সূরা তওবায় "দ্বারার" মসজিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে; একটি মসজিদ যা মুসলমানদের বিভক্ত করার জন্য মুনাফিকদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং সেই বিভেদ সৃষ্টি করা মসজিদটি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর আদেশে ধ্বংস করা হয়েছিল।