এমসিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘দ্য ব্লেসিংস অব দ্য কালেক্টিভ’-এর অভিজ্ঞতার জন্য মানুষকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এতে যুক্তরাজ্যের ২৫০টিরও বেশি মুসলিম পরিচালিত দাতব্য সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। এর মাধ্যমে তাঁরা পারস্পরিক যোগাযোগ, শিক্ষা ও সর্বোত্তম অনুশীলন করার সুযোগ লাভ করেন। দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব তৈরি এবং সম্মিলিত অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে তাঁরা সম্মেলনে যোগ দিন। আমরা একসঙ্গে আমাদের কণ্ঠস্বরকে সুউচ্চ করতে পারি।
আমাদের অর্জনগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারি। আমরা ব্রিটিশ মুসলিম দাতব্য খাতের জন্য একটি শক্তিশালী ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করতে পারি।’
সম্মেলনে চ্যারিটি কমিশনের অরল্যান্ডো ফ্রেজার, ফান্ডরেজিং রেগুলেটরের জেরাল্ড ওপেনহেইম, সারাহ ওয়েন এমপি, ব্যারনেস বেনেট, নাইম রেজা, রমিমা আজিজ, রিদওয়ান খালিদ, রিদওয়ান ইউসুফ ও এমসিএফের প্রধান মোয়াজ্জাম মালিক সিএমজিসহ ৪০ জন বক্তব্য দেন।
এমসিএফের নির্বাহী পরিচালক ফাদি ইতানি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা মুসলিম দাতব্য সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
এই আয়োজনে আমাদের অংশীদার, সদস্য ও স্টেকহোল্ডারদের যথেষ্ট সহযোগিতা রয়েছে। এর মাধ্যমে মুসলিম দাতব্য সংস্থাগুলোর কাজ এবং যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবদানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে দাতব্য সেক্টরে মুসলিম নেতৃত্বাধীন ৪৫০টিরও বেশি সংস্থা রয়েছে, যেগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামাজিক কল্যাণে কাজ করছে। লন্ডনভিত্তিক থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান দ্য আয়ান ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্মিলিতভাবে এসব দাতব্য কার্যক্রমের পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। দাতব্য কাজে যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা বছরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন পাউন্ড দান করেন এবং ২০৫০ সালের মধ্যে দানের অর্থের পরিমাণ চার বিলিয়ন পাউন্ডে গিয়ে পৌঁছবে।
সূত্র : এমসিএফ