IQNA

মসজিদে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধের কারণ জানাল সৌদি

20:09 - June 01, 2021
সংবাদ: 2612888
সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবার মসজিদগুলোতে উচ্চৈঃস্বরে মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করার কারণ জানিয়েছে। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল-শেখ জানান, মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মসজিদে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধের কারণ জানাল সৌদি
তেহরান (ইকনা): সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবার মসজিদগুলোতে উচ্চৈঃস্বরে মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করার কারণ জানিয়েছে। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল-শেখ জানান, মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, মসজিদে মাইক ব্যবহার সীমিত করে নতুন আইন পাশ করে সৌদি আরব। নতুন আইনে মসজিদের মাইকের ব্যবহার কেবল আজান ও ইকামতের কাজের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আজান ও ইকামতের বাইরে অন্য কোনো কাজে বা প্রয়োজনে মসজিদের মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল শেখ আরও জানান, হযরত মুহাম্মদ (স.) এর একটি হাদিসের উপর ভিত্তি করে এই আইনটি চালু করা হয়েছে। যারা নামাজ পড়তে চান, ইমামের ডাকের জন্য তাদের অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

তবে সৌদি আরবের মতো মুসলিম রাষ্ট্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সে ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে অভিভাবকরাও রয়েছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে মাইক বাজানোর ফলে শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে।

সরকারি সিদ্ধান্তের যারা সমালোচনা করছেন, তাদেরকে সে ‘দেশের শত্রু’ হিসেবে তিনি আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি সমালোচনাকারীরা জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সৌদি আরবের কিছু টুইটার ব্যবহারকারী এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে অন্যরা বলেছে যে তারা নামাজ ও আযানের ধ্বনিতে প্রশান্তি অনুভব করে।

মোহাম্মদ আল ইয়াহিয়া নামে পরিচিত সৌদির টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন: "অনেকের বিরক্ত হওয়ার কারণে লাউড স্পিকারে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রচার বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি যে, হয়রানির উৎসের একটি বড় অংশ হচ্ছে রেস্তোরা ও বাজারসমূহে উচ্চতর মিউজিক প্রচার, আর কর্তৃপক্ষের শীঘ্রই এই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

আল-শেখ বলেছেন যে, সৌদি আরবের বাদশাহের শত্রুরা জনগণের মতামত উত্সাহিত করতে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করতে চায় এবং তারা এধরনের বার্তাগুলির মাধ্যমে জাতীয় সংহতিকে ধ্বংস করতে চায়। iqna

captcha