IQNA

হিজবুল্লাহ মহাসচিব;

প্রতিরোধের শক্তি অক্ষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ইরান

11:32 - October 02, 2022
সংবাদ: 3472566
তেহরান (ইকনা): সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন: আজ প্রতিরোধের শক্তি অক্ষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানকে যারা ভালোবাসে তাদের দুঃখিত হওয়া উচিত নয়, কারণ বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ, "শাকরা" শহরে লেবাননের প্রয়াত শিয়া আলেম আল্লামা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আলী আমিনের স্মরণ অনুষ্ঠানে এই অসামান্য এবং মহান আলেমের ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করেছেন।
 
আলেমদের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ ও জাতির প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছি, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: ইতিহাস অধ্যয়নের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের জন্য ব্যবহার করা। এই আলেমদের ইতিহাস ব্যতীত এদেশের ইতিহাস বোঝা সম্ভব নয় এবং তাদের অনেক মূল্যবান কাজ ধ্বংস ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তা সংরক্ষণের দিকেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে।
 
লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব অব্যাহত রেখেছিলেন: যা কাম্য তা হল সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং ব্যাপক সহযোগিতা, তাই আমাদের আলেমদের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা করতে হবে।
 
নাসরুল্লাহ ঘোষণা করেছেন: ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে, এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যে ধর্মীয় পণ্ডিতদের শুধুমাত্র ধর্মীয় দায়িত্ব রয়েছে এবং ইহুদিবাদী শত্রুর সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে এবং সামরিক সংঘর্ষে প্রবেশ করা উচিত নয়। এটি এমন একটি ঘটনা যা ইমাম মূসা সদর ভোগ করেছেন।
 
তিনি স্পষ্ট করেছেন: ইমাম মুসা সদরের বক্তৃতা এবং তার পদ্ধতির বিরুদ্ধে এই পণ্ডিত ও সাংস্কৃতিক মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। প্রথম থেকেই এই মরহুম (আল্লামা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আলী আমিন) জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টির উপর ভিত্তি করে ইমাম মুসা সদরের সাথে যোগ দেন। আল্লামা ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার বা শিয়াদের সুপ্রিম ইসলামিক কাউন্সিলে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেখানে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এর নির্বাচিত শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
 
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানি জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে আমেরিকা দেশটিতে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের যেকোনো ঘটনাকে দেশটির ইসলামি শাসনব্যবস্থা উৎখাতের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করে। আমেরিকা বর্তমানে ইরানে হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নিরাপত্তা হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে ব্যবহার করছে।  
 
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করও ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে না পেরে এখন ওই তরুণীর মৃত্যুর কারণকে ঘিরে যে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে তার অপব্যবহার করে ইরানে গোলযোগ ও নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, আমেরিকা জানে যে, ইরান একটি শক্তিশালী দেশ কাজেই যুদ্ধ করে সেদেশের সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। তাই তারা জনরোষকে উস্কে দিয়ে তাদর অশুভ লক্ষ্য চরিতার্থ করতে চায়।
 
ইরানে হিজাব আইন অমান্য করার কারণে আটক তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় যখন দেশবাসী শোকাহত এবং তারা ফরেনসিক তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তখন রাজধানী তেহরানসহ কিছু শহরে বেআইনি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  প্রতিবাদকারীরা সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ভাঙচুরসহ নানারকম নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়েছে। অন্যদিকে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে রাজধানী তেহরানসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছেন লাখ লাখ মানুষ। মিছিলকারীরা বিদেশিদের মদদে দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেন।
 
তবে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের চলমান ঘটনাপ্রবাহে দাঙ্গাবাজদের পক্ষ নিয়েছে। এসব দেশের সরকারগুলো প্রকাশ্যে ইরানের দাঙ্গাকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো ভুল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে ইরানের চলমান পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ উল্টো করে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। 4088997           

 

captcha