বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) এবং ইমাম আলী(আ.) সর্বদা শেষ জামানার কথা বলে গেছেন। তারা শেষ জামানার মু’মিনদেরকে বদর ও ওহুদের যোদ্ধাদের থেকেও বেশী মর্যাদাবান বরে উল্লেখ করেছেন।
একদা এক মুজাহিদ যুদ্ধের পর ইমাম আলীকে বললেন, আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান কেননা আপনার পাশে থেকে আপনার পক্ষে যুদ্ধ করতে পারছি। ইমাম তার জবাবে বলেন, «وَ الَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَ بَرَأَ النَّسَمَةَ لَقَدْ شَهِدَنَا فِي هَذَا الْمَوْقِفِ أُنَاسٌ لَمْ يَخْلُقِ اللَّهُ آبَاءَهُمْ وَ لَا أَجْدَادَهُمْ بَعْدُ؛
ঐ আল্লাহর শপথ যিনি দানা থেকে বৃক্ষ জন্মান এবং সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, আমাদের সাথে এমন মুজাহিদরা অংশ নিয়েছে যাদের পূর্বপুরুষরাও এখনও দুনিয়াতে আসে নি। মুজাহিদ লোকটি বললেন: তা কিভাবে সম্ভব। যাদের এখনও জন্মও হয় নি এমনকি যাদের পূর্বপুরুষরাও এখনও দুনিয়াতে আসে নি তারা কিভাবে এই যুদ্ধের সওয়াবে শরিক হবে।
ইমাম বললেন: «بَلَى قَوْمٌ يَكُونُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ يَشْرَكُونَنَا فِيمَا نَحْنُ فِيهِ وَ يُسَلِّمُونَ لَنَا فَأُولَئِكَ شُرَكَاؤُنَا فِيمَا كُنَّا فِيهِ حَقّاً حَقّا؛
শেষ জামানায় এমন একদল মু’মিনি আসবে যারা আমাদের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও ঈমান রাখবে। তারা আমাদের কাজের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি জ্ঞান করবে। আর একারণেই তারা আমাদের কাজের শরিক হবে এবং বিষয়টি সত্য ও নিশ্চিত।
আল্লাহর রাসূল তাঁর জীবদ্দশায় যেমন মানুষের কাজ-কর্ম সম্পর্কে অবহিত ছিলেন, তেমনি এখনও তাঁর উম্মতের কাজ কর্মের খবর রাখেন, সবকিছুর তত্ত্বাবধান করেন। অনেক অলি আউলিয়াও এই উচ্চ অবস্থানে উপনীত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন। এ অবস্থায় তারা মৃত্যুর পরও আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের ভালো মন্দ সম্পর্কে অবহিত হয়ে থাকেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল ব্যাপারে জানেন কারণ মানুষ গোপনে প্রকাশ্যে যাই করুক কোনো কিছুই তার কাছে অস্পষ্ট থাকে না। কাজেই পাপ-পঙ্কিলতার পথ পরিহার করে সৎ-কর্ম করাই বুদ্ধিমানের কাজ।