IQNA

ইয়েমেন ইস্যুতে বাইডেন সরকারের ইতিবাচক অবস্থান: আনসারুল্লাহর প্রতিক্রিয়া

0:01 - February 08, 2021
সংবাদ: 2612221
তেহরান (ইকনা): মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার ইয়েমেন যুদ্ধ সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে ব্যাপারে যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোর মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির প্রথম পদক্ষেপেই ইয়েমেনের আনসারুল্লাহর ওপর থেকে অবরোধ এক মাসের জন্য তুলে নিয়েছে। মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, জো বাইডেন কংগ্রেসকে জানিয়েছেন যে, আনসারুল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মারফি বাইডেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর আগে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কির্বিও বলেছিলেন, ইয়ামেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

বাইডেন সরকারের এই সিদ্ধান্তগুলোকে বেশিরভাগ কৌশল বলেই মনে হয়। কৌশলটা হলো আনসারুল্লাহ'র সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করা। কেননা এটি বর্তমানে ইয়েমেনের সবচেয়ে সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। অবশ্য এই সিদ্ধান্তগুলো কৌশলগত হলেও এর ইতিবাচকতা রয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে নয়া মার্কিন প্রশাসন আনসারুল্লাহকে ইয়েমেনের প্রভাবশালী একটি দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে বাইডেন সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি আনসারুল্লাহর প্রতিক্রিয়াও লক্ষণীয়। আনসারুল্লাহ এই সিদ্ধান্তগুলিকে স্বাগত জানিয়ে এই 'ঘোষিত' নীতিকে 'প্রায়োগিক' নীতিতে রূপান্তর করার আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন সরকার গত ছয় বছর ধরে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি আরবকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। আমেরিকাকে বিশ্বাস করা দুরূহ ব্যাপার। সুতরাং আস্থা সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে সৌদি আরবের উপর চাপ সৃষ্টি করার দাবি জানিয়েছে আনসারুল্লাহ।

এ প্রসঙ্গে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আল-হুথি বলেছেন: "আমরা বর্তমানে বাইডেনের অবস্থানকে একটি মৌখিক বিষয় হিসেবে নিয়েছি। আমরা যুদ্ধের অবসান এবং অবরোধ তুলে নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। ওয়াশিংটনের মদদপ্রাপ্ত সৌদি ও আরব-আমিরাত আগ্রাসন বন্ধ করবে বলে আশা করছি।"

ইয়েমেনে সৌদি হামলা চালিয়ে যাওয়া এবং সৌদি নৃশংসতার ধারাবাহিকতার কারণেই আমেরিকার ব্যাপারে এ ধরনের আস্থাহীনতার মতো প্রতিক্রিয়া আনসারুল্লাহর।

সৌদি আরব অবশ্য বাইডেন সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নীরব রয়েছে। আবার সংযুক্ত আরব আমিরাত দাবি করেছে, তারা গত দেড় বছর ধরে ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত ছিল না। তারা ২০২০ সালের অক্টোবরের পর থেকে ইয়েমেনে সামরিক উপস্থিতির অবসান ঘটিয়েছে।

যাই ইয়েমেন যুদ্ধে বর্তমানে আনসারুল্লাহ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এমনকি কৌশলগত প্রদেশ মার্বেও তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথে রয়েছে। সুতরাং বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বরং সৌদি জোটকে ইয়েমেন যুদ্ধের চোরাবালি থেকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। সূত্র: পার্সটুডে

captcha